চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আব্দুল কাদের (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন তালুকদারের বিরুদ্ধে। যদিও চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পুলিশ বলছে ঘটনাটি বানোয়াট। এ ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। তারা রাত ১০ টা পর্যন্ত বিষয়টির তদন্ত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলের দিকে বাঁশখালী প্রধান সড়কের নয়া মসজিদ এলাকা থেকে শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন তালুকদারের লোকজন আব্দুল কাদেরকে ধরে চেয়ারম্যানের নাপোড়াস্থ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে অস্ত্র দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আব্দুল কাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, আব্দুল কাদেরের সাথে চেয়ারম্যানের বিরোধ ছিল। এর জেরে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও চেয়ারম্যান ইয়াসিন তাকে মেরে আহত করে। তার হাতে এখনো ক্ষত রয়েছে। চেয়ারম্যানের ভয়ে আব্দুল কাদের শেখেরখীল ইউনিয়নের নিজ বাড়ি ছেড়ে পুঁইছড়ি ইউনিয়নে থাকত। শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন তালুকদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আব্দুল কাদেরকে বন্দুক সহ আটক করেছে এলাকার লোকজন। এরপর তাকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এটা বানোয়ট ঘটনা নয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবীর এবং বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবীর।
ওসি সফিউল কবীর বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। সবকিছু দেখে ঘটনাটি বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত জানানো হবে।