বাঁশখালীতে ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন নিম্মাঞ্ছল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও মৎস্যখাত। ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতি বর্ষণে বাঁশখালীর পূর্ব দিকে পাহাড়ি এলাকা থেকে পানি পশ্চিমে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এসময় লোকালয় পানিতে প্লাবিত হয়। সকালের দিকে পানি জমে থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে জেতে শুরু করে। তবে জমে থাকা সবজি খেত এবং পুকুর থেকে মাছ চলে গিয়ে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে কৃষক ও মাছ চাষি।
বাঁশখালীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, পৌরসভার দোশারী পাড়া, দক্ষিণ জলদি বড়ুয়া পাড়া, কেবল কৃষ্ণ মহাজন পাড়া, বাহারউল্লাহ পাড়া, খন্দকার পাড়া, হারুন বাজার, পুইছড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া নোয়াপাড়া, দিলু মার্কেট, মিরা পাড়া, দক্ষিণ পুইছড়ীর সিকদারপাড়া, হায়দারি ঘোনা, নুরাবাপের পাড়া, সাইয়ারা পাড়া, ডাকাতিয়া ঘোনা, পন্ডিতকাটা, চাম্বল ইউনিয়নের মুন্সীরখীল, পূর্ব চাম্বল, বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা, রত্নপুর, গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা, সকাল বাজার, কালীপুর ইউনিয়নের কোকদন্ডী, রাজার পাড়া, শীলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজার, জাইল্লাখালী, মনকিরচর, সাধনপুর ইউনিয়নের জেলে পাড়া, শেখেরখীল ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, লাল জীবন, সরকার হাট এবং ছনুয়া, বৈলছড়ি, পুকুরিয়া, সরল ও কাথারিয়া ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা সদরস্থ বাঁশখালী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, গত বুধবার ৩০ জুন রাতে অতি বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। সেচ দিয়ে পানি বের করতে হয়েছে। পূর্ব চাম্বল ইউনিয়নের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ঢেঁড়স ক্ষেতে পানি জমে গেছে। আজকে রাতে বৃষ্টি হলে গাছ মরে যাবে। শীলকূপ মনকিরচর এলাকার মাছ চাষি মোহাম্মদ সগির বলেন, ভারী বৃষ্টিতে পুকুরের ডুবে মাছ পানিয়ে গেছে। লাখখানেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক জানান, আজকের মধ্যে জমে থাকা পানি সরে না গেলে মরিচ, ঢেঁড়স, তিত করলা, বিভিন্ন শাকসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত নষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাৎক্ষনিক সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কর যায়নি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সকল ইউনিয়ন থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।