মানুষের স্বাস্থ্য সেবার প্রথম আশ্রয়স্থল স্থানীয় হাসপাতাল। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্ষেত্রে দেখাযায় ঠিক এর উল্টো।
উপজেলার একমাত্র এই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা নিয়ে বার বার বিভিন্ন গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। বরং দিন-দিন তা বেড়েই চলেছে। উপজেলার এক লক্ষ্য ত্রিশ হাজার (১,৩০,০০০) মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ামত সরঞ্জামাদী নেই বললেও চলে। তাই সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হচ্ছে প্রতারনার শিকার।
আখাউড়া উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন বহিঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ অথচ চিকিৎসকরা সকাল ৮টা থেকে তাদের কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও ৯-১০টার আগে কোন চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন না এবং দুপুর ৩টা পর্যন্ত ডিউটির নিয়ম থাকলেও দুপুর ১টার পর বেশিরভাগ চিকিৎসকই তার কর্মস্থলে থাকে না, যা সাধারণ মানুষ জন্য চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের চেম্বারে ঔষধ কোম্পানির ভিজিটরদের এত বেশি উপস্থিতি যা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনকারী রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া আরো একটি অন্যতম কারন। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও এখানে শয্যা রয়েছে ৩৮টি যা সাধারণ মানুষ দেখছেন শুভংকরের ফাঁকি হিসেবেই। তার উপর বেডগুলি এতই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত যা ব্যবহার করলে একজন সুস্থ্য মানুষও অসুস্থ্য হয়ে যাবে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন….আমি দেখছি। এখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য সেবার মান এইগুলি সরজমিনে আমি পর্যবেক্ষণ করছি আমি এখানে যে কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ অফিস ব্যবস্থাপনা এই বিষয়ে আমি তাদের সাথে তথ্য বিনিময় করছি এখানে যেন একটা স্বাস্থ্য বান্ধব এবং জনবান্ধব স্বাস্থ্য সেবা গড়ে উঠে এটার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এত জনসংখ্যার নির্ভরশীল একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ল্যাবরেটরীতে হয়না কোন পরিক্ষা নিরিক্ষা। এক্স-রে মেশিনটিও দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে অকেজো হয়ে, এতে করে সাধারণ মানুষ হচ্ছে ভোগান্তির শিকার আর তাতে করে সুবিধা নিচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলি। এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন….প্যাথলজি সহ ডায়াগনেস্টিক টুল্স গুলি কি ভাবে চলমান থাকে সচল থাকে কিভাবে রোগির জন্য রোগিবান্ধব হয় সেইটা চলমান করার জন্যই আমি স্থানীয় যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক আছে তার সাথে মতবিনিময় করছি। আমাদের কোথায় বাধা আছে কিভাবে উত্তরণ করতে পারি তা ভেবে দেখবো।