ইসলামে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং এর জন্য খুবই তাগিদ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- ‘তোমরা নামায পড়ো নামাজিদের সাথে।’ অর্থাৎ তোমরা জামাত সহকারে নামায পড়ো। (সূরা বাকারা)
নামাজের জামাতে প্রথম থেকে শরিক হতে না পারলে মুসল্লিরা কী করবেন? জামাতে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত ইসলামের পরিভাষা ও দিকনির্দেশনাই বা কী?
নামাজের জামাতে সম্পৃক্ত হওয়ার দিক থেকে মুসল্লিদের তিন ধরনের পরিচয় রয়েছে। জামাতে উপস্থিত হওয়া সাপেক্ষে তাদের এ পরিচয় হয়। তা হচ্ছে- মুদরিক, লাহিক ও মাসবুক। দেশ পাঠকরা, আসুন এ তিন পরিভাষা ও করণীয় সম্পর্কে জেনে নিই;
মুদরিক
যে মুসল্লি ইমামের সঙ্গে জামাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ নামাজ পেয়েছে, তাকে মুদরিক বলে।
লাহিক
ইমামের সঙ্গে নামাজরত অবস্থায় যে মুক্তাদির অজু ছুটে যায়, তাকে লাহিক বলে।
লাহিক মুসল্লির করণীয়ঃ
কোনো কথা না বলে সরাসরি কাতার ভেদ করে অজু করতে চলে যাওয়া। অজু করে ফিরে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজে যোগদান করা। ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে উঠে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ যথারীতি আদায় করবে।
অজু করে ফিরে আসতে আসতে যদি ইমামের নামাজ শেষ হয়ে যায়, তবে একাকি অবশিষ্ট নামাজ আদায় করা। তবে শর্ত হচ্ছে এ সময় কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না। কথা বললে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
মাসবুক
যে মুসল্লি ইমামের সঙ্গে নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক বলে। ইমামের সালাম ফিরানোর পর ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাতসহ আদায় করা এবং এতে ভুল হলে সাহু সিজদাও করা।
প্রথমে মাসবুক হওয়া কিরাতওয়ালা রাকাত আদায় করবে এবং পরে কিরাতবিহীন রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়বে। তারপর শেষ বৈঠকে তাশাহুদ-দরূদ-(দোয়ায়ে মাছুরা) পড়ে সালাম ফিরাবে।