স্কোর বোর্ডঃ
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৫২/৯
জেমকন খুলনা: ১৯.৫ ওভারে ১৫৫/৬
ফল: জেমকন খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী
কী হতে কী হয়ে গেল! চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে কিছুক্ষণ ঠাই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও শেষ ওভারের বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ। জিততে জিততে বরিশাল হেরে গেল ওই শেষ ওভারে!
শেষ ৬ বলে ২২ রান দরকার ছিল জেমকন খুলনার। উইকেটে ছিলেন আরিফুল হক ও শহীদুল ইসলাম। আগের ওভারগুলোয় যেভাবে কষ্টে সৃষ্টে রান তুলেছে খুলনা, তাতে ওই সমীকরণটাকে খুলনার জন্য অসম্ভবই মনে হয়েছিল। রানের জন্য লড়াই করতে হয়েছে আরিফুলকেও। ২০ বলে এক পর্যায়ে যাঁর রান ছিল মাত্র ১১, সেই আরিফুলই জিতিয়ে দিলেন ম্যাচ। শেষ পাঁচ বলে বিশাল ৪টি ছক্কা মেরে! টিভির ধারাভাষ্যকাররা তখন বার বার বলছিলেন-‘সিম্পলি আনবিলিভেবল!’
সাকিবের ফেরার ম্যাচটা তাই হয়ে থাকল আরিফুল হকের। ৪ উইকেটে দলের জয় নিশ্চিত করতে ৩৪ বলে আরিফুল করেছেন অপরাজিত ৪৮। অথচ ফেরার ম্যাচে দারুণ একটা ইনিংস খেলার মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। মাত্র ৪ রানেই খুলনা হারিয়ে ফেলেছিল ২ উইকেট। কিন্তু ‘সাকিবীয়’ কিছু করে দেখাতে পারেননি ৪০৯ দিন পর ম্যাচে ফেরা সাকিব। ষষ্ঠ ওভারে সুমন খানকে তুলে মারতে গিয়ে যখন ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে তালুবন্দী হলেন আফিফ হোসেনের-স্কোরবোর্ডে খুলনা ৪ উইকেটে ৩৬!
তার আগের ওভারেই আউট হয়ে গেছেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (১৭)। তাঁর আউটে যখন দলীয় ইনিংসকে টেনে নেওয়ার বাড়তি দায়িত্ব বর্তেছে কাঁধে, তখনই আউট সাকিব। ১৩ বলে ২টি চারে করেছেন ১৫ রান।
তবে ফেরার ম্যাচটা সাকিবের জন্য বিস্বাদের হতে দেননি জহুরুল ইসলাম (২৬ বলে ৩১) ও শামীম হোসেনরা (১৮ বলে ২৬) ও আরিফুল হকরা। জিততে জিততে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল,‘ টি-টোয়েন্টিটা এমনই, একটা-দুটো ওভারই ম্যাচ উল্টে দিতে পারে।’
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে ফরচুন বরিশাল। রানের খাতা খোলার আগেই মেহেদী হাসান মিরাজকে হারিয়ে দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছিল বরিশালের। তবে তিনে ব্যাট করতে এসে পারভেজ হোসেন ইমন ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে ৪২ বলে ৫১ রান করলে দেড় শ ছাড়ায় দলের রান। পিএসএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভালো করতে পারেননি, ১৫ বলে করেছেন ১৫। দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার শহীদুল ইসলাম। বরিশাল ইনিংসের ১৯তম ওভারটিতে তিনি মাত্র ১ রানের খরচায় ফিরিয়েছেন আমিনুল ইসলাম (৫), তৌহিদ হৃদয় ও সুমন খানকে (০)। সাকিব ৩ ওভার বল করে ১৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।